শ্রীমঙ্গলের টি হ্যাভেন ও শান্তিবাড়ি রিসোর্টে ভূমি প্রকাশনীর আনন্দ ভ্রমণ শেষ করে সন্ধ্যার পর পর গিয়ে পৌঁছালাম সিলেটে। দলের ছেলে সদস্যদের জন্য হোটেল খুঁজতে এসেছি জিন্দাবাজারে। গোল্ডেন সিটি কমপ্লেক্সের হোটেল গোল্ডেন সিটিতে এদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। হঠাৎ করেই জয়নাল ভাইয়া বললো, এই ভবনেরই দ্বিতীয় তলায় বাতিঘর। শুনে আমি চমকে উঠলাম, বলে কী? সিলেটেও বাতিঘরের শাখা উন্মোচিত হয়েছে?
হ্যাঁ, এই বছরের এপ্রিলের শুরুতেই যাত্রা শুরু হয়েছে সিলেট বাতিঘরের। ভাগ্যটা ভালোই বলতে হবে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়েই সিলেটে ছিলাম আমরা। সবাই সায় দিতেই হোটেলওয়ালাদের ওদের ঝামেলা সামলাতে দিয়ে আমরা গেলাম বাতিঘরে। অল্প কয়েকদিন আগে থেকে আলো ছড়াতে শুরু করেছে সিলেটের বাতিঘর। সিলেটে নতুন হলেও বইপ্রেমীদের কাছে বাতিঘর পরিচিত নাম। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর এবার সিলেটেও যাত্রা শুরু করেছে সৃজনশীল বইয়ের এ প্রতিষ্ঠানটি।

কিন ব্রিজের আদল; Image Source : মাদিহা মৌ
চটগ্রামের বইবিপণী বাতিঘরের নাম বইপড়ুয়া সবাই কম বেশি শুনেছে। বইকে ঘিরে বাতিঘরে চলে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। তাই চট্টগ্রামে গিয়েও বাতিঘরে না যাওয়াটা হতো চরম বোকামি। সেবার জামালখান রোডের বাতিঘরে ঢুকেই চমকে গিয়েছিলাম। প্রথম দর্শনেই মনে হয়েছিলো আমি একটা জাহাজে রয়েছি। জাহাজের কেবিনে হালকা সুরে বাজছে দূর সমুদ্রের গান। মেঝেতে কাঠের পাটাতন, ছাদে ঝুলছে নোঙর ফেলার মোটা রশি, ঈষৎ দূরে পড়ে রয়েছে পণ্যবাহী কনটেইনার। জানালায় চোখ দিলে মনে হবে এ যেন এক সমুদ্রগামী জাহাজ, ফেনিল ঢেউ পাড়ি দিয়ে ছুটছে আলোকের সন্ধানে। দেখা যাচ্ছে, সাগরের নীল পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে রঙ বেরঙের সামুদ্রিক মাছ। আসলে এটি হচ্ছে শিল্পের মায়া, অভ্যন্তরীণ সজ্জার এক শিল্পিত প্রদর্শনী।
সেজন্যই সিলেটের বাতিঘরে ঢুকেই আমি আগে অভ্যন্তরীণ সজ্জার দিকে নজর দিলাম। কই, এখানে তো জাহাজের অবয়ব নেই! আছে লালচেরঙা লোহার ব্রিজের মোটা মোটা থাম, আর পুরাতন মডেলের একটা ঘড়ি। ভেবে দেখলাম, কদমতলী থেকে আসার পথেই সিলেটের দুটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা দেখে এসেছিলাম। সুরমা নদীর ওপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ আর নদীর পাড়ে স্থাপিত আলী আমজদের ঘড়ি। এই দুটোর মতো করেই সাজানো হয়েছে বাতিঘরের সিলেট শাখা। আবার সিলেট যেহেতু চায়ের দেশ, তাই সিলেটের বাতিঘরের দেয়াল করা হয়েছে চা-বাগানের আদলে। সব মিলিয়ে দোকানের অভ্যন্তরীণ সজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে সিলেটকে।

বাতিঘরে রয়েছে বিভিন্ন কর্নার; Image Source : মাদিহা মৌ
নান্দনিক এই অভ্যন্তরীণ সজ্জার প্রণেতা শিল্পী শাহীনুর রহমান। আলোকসজ্জা করেছেন নাসিরুল হক খোকন ও জুনায়েদ ইউসুফ। এত দারুণ নান্দনিকতা দেখতে কেবল বইয়ের শুধু ক্রেতা নয়, সাধারণ মানুষও আসছেন। ফলে এই সুবাদে বইয়ের জগতেও প্রবেশ করছে কিছু মানুষ।
একসময় বাংলাদেশের শহরগুলোতে পাঠাগার বলতে কিছু ছিল না বললেই চলে। যাই বা জেলা শহরে গণ পাঠাগার আছে, সেগুলোতে বইয়ের পরিমাণ ছিল খুবই কম, আর ঘুনে খাওয়া। পাঠকেরা সাধারণত বইয়ের দোকানে গিয়ে বিক্রেতাকে বইয়ের নাম বলে বই কেনে। সেসব দোকানেও ফিকশন বইয়ের পরিমাণ থাকতো খুবই কম। একই কথা বলা চলে সিলেটের ক্ষেত্রেও। সুন্দর পরিবেশে বড় পরিসরে বই কেনার মতো প্রতিষ্ঠান ছিল না বললেই চলে। এভাবে পড়ে বই কেনার সুযোগ সিলেটের খুবই কম। এক্ষেত্রে বাতিঘরকে অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়েছে আমার কাছে।

কাউন্টারের পিছনেই বিখ্যাত সেই ঘড়ি; Image Source : মাদিহা মৌ
এখানে কেউ কাউকে বই কেনার জন্য পীড়াপীড়ি করে না। আপন মনে যেটা পছন্দ, সেই বই পড়া যাবে যতক্ষণ খুশি, ততক্ষণ। মন চাইলে চুমুক দেওয়া যাবে কফির কাপে। কারণ, বইপ্রেমীরা যাতে বাতিঘরে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন এ জন্য রয়েছে ছোট্ট একটা ক্যাফে। এখানে চা, কফি, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ও হালকা খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
অন্য সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে, কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ, গিফট ভাউচার, এছাড়া গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশ থেকে বই সংগ্রহ এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বই পাঠানো হয়। চাইলে নিয়ে আসতে পারেন পরিবারের ছোট্ট সদস্যদেরও। কারণ এখানে রয়েছে একটি শিশু কর্নারও। সেখানে আছে বাচ্চাদের উপযোগী বিভিন্ন রকমের বই।
এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে দীপংকর দাশ নামক স্বপ্নবান এক যুবকের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে। এক দশক আগে তিনি বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে চাকরি করতেন। খুব বেশি টাকা পয়সা ছিল না হাতে কিন্তু বইয়ের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অফুরান, আর ছিল বড় কিছু করার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আজ তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। পাব্লিক লাইব্রেরি, সেখান থেকে মালঞ্চ সচেতন সাহিত্য গোষ্ঠী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক হিসাবে কাজ করা দীপঙ্করকে বইয়ের পাঠাগার করার স্বপ্ন দেখিয়েছিল।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সাফল্য দেখে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়েছিলেন দীপংকর। তার ভবিষ্যত স্বপ্ন হলো সারা দেশে একটি রিডার্স সোসাইটি গড়ে তোলা এবং প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে বিশ্বমানের বইয়ের দোকান প্রতিষ্ঠা করা। তারই ধারাবাহিতায় চট্টগ্রামের পর রাজধানী ঢাকা, এবং তারপরই চায়ের দেশ সিলেটে গড়ে উঠেছে বাতিঘরের শাখা।
পাঠকদের ভালোবাসায় বাতিঘরকে একদিনের জন্যও ঝুঁকিতে পড়তে হয়নি। বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে বাতিঘর একটি স্বপ্নের নাম। বাতিঘরের রয়েছে নিজস্ব প্রকাশনা। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ত্রিশের অধিক বই। দেশ-বিদেশের কয়েকজন লেখকের কয়েকটি বই ইতোমধ্যে বাতিঘর থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আরো অনেক লেখকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাতিঘর। প্রকাশনার কাজ চলছে বেশ কিছু বইয়ের। নবীন লেখকদের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের চিরায়ত বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ ছাড়াও বাংলা সাহিত্যের দুষ্প্রাপ্য বইগুলো মানসম্পন্নভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে চায় বাতিঘর।

পাঠকেরা এখানে বই পড়ে নিশ্চিন্তে; Image Source : মাদিহা মৌ
সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাতিঘর। কিছুদিন পরপরই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অনুষঙ্গ। অনেকে পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য বই সংগ্রহ ও বিক্রি করতে চান বলে বাতিঘরে চালু হচ্ছে ‘পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য বই’ কর্নার।
বাতিঘরে এখন রয়েছে শতাধিক বিষয়- প্রবন্ধ, ছোট গল্প, কবিতা, উপন্যাস, অন্য ভাষার সাহিত্য, জীবনী ও আত্মজীবনী, ধর্মীয় বই, আত্মউন্নয়নমূলক বই, আইন, রান্নার বই, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, মনোবিজ্ঞান, দর্শন, গণিত ও বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান, ভূতের বই, প্রকৃতি, চারুকলা, স্থাপত্যশিল্প, নাট্যতত্ত্ব, চলচ্চিত্র, ইতিহাস, রাজনীতি, সাংবাদিকতা ছাড়াও রয়েছে ইংরেজি বইয়ের বিশাল সম্ভার। বইয়ের রাজ্যে চোখ ফেললেই দেখা যাবে, রবীন্দ্রনাথ থেকে হুমায়ূন আহমেদ, পামুক থেকে সার্ত্রে- কে নেই এই পাঠাগারে।
দেশি-বিদেশি প্রচুর বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে এখানে। বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১০ হাজার লেখকের নানা ধরনের বই পাওয়া যাবে এই প্রতিষ্ঠানে। ইতিহাস, আত্মজীবনী, জীবনী, প্রবন্ধ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, শিল্পকলা, নাট্যতত্ত্ব, চলচ্চিত্র, ধর্ম, দর্শন, কথাসাহিত্য, অনুবাদ, কবিতা, শিশুসাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, গবেষণাসহ নানা বিষয়ের বইয়ের সমাহার রয়েছে বাতিঘরে। সিলেটি ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি কর্নার রয়েছে, যেখান থেকে জানা যাবে সিলেটের ইতিহাস। খুব শীঘ্রই বাতিঘরের নামফলক বাংলার পাশাপাশি সিলেটের নাগরী লিপি দিয়েও লেখা হবে।

নান্দনিকতা; Image Source : মাদিহা মৌ
বিভিন্ন বিষয়ের উপর বাতিঘরের অনেক সংগ্রহ থাকে। নতুন বইয়ের পাশাপাশি পুরোনো ও দুষ্প্রাপ্য বই পাওয়া যাবে এখানে। নামীদামী লেখকের পাশাপাশি নতুন লেখদেরও বই থাকে। একজন পাঠকের বই কেনার আগে বই দেখে পড়ে নিজের চাহিদামত কেনার সুযোগ থাকে। শুধু তাই নয় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী বিদেশ থেকেও বই আনা হয়।
যারা বইয়ের পাতায় ওম খুঁজে পান জীবনের, তাদের একান্ত ঠিকানা বাতিঘর। এক কাপ ধূমায়িত কফির সঙ্গে আনকোরা বইয়ের গন্ধ উপভোগ্য করে তোলে অবসরের সময়টুকু। সে পরিতৃপ্তির লোভে প্রতিদিন মানুষের ভিড় লেগে থাকে বাতিঘরে। বাতিঘর এখন শুধু একটি বই বিপণন কেন্দ্র নয়, মানুষের সুরুচির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।
সময়সূচি
সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্রেতাদের জন্য খোলা থাকে বাতিঘর।
অবস্থান
সিলেট নগরের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার গোল্ডেন সিটি কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে বাতিঘরের সিলেট শাখা।

গরম চা; Image source: আসিফ আব্দুল
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে৷ বাসগুলো সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় পরপর ছেড়ে যায়৷ ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে সিলেটের বাসগুলো ছাড়ে। এ পথে গ্রীনলাইন পরিবহন, সৌদিয়া এস আলম পরিবহন, শ্যামলি পরিবহন ও এনা পরিবহনের এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার ১শ’ টাকা। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক সার্ভিস, এনা পরিবহনের নন এসি বাস সিলেটে যায়। ভাড়া ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। এনা পরিবহনের বাসগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে টঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে সিলেট যায়।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টায় ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ০৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ছাড়ে কালনী এক্সপ্রেস। ভাড়া দেড়শ থেকে ১ হাজার ১৮ টাকা।ট্রেনে গেলে রাত ৯.৫০ এর উপবন এক্সপ্রেসে যাওয়াটাই সব থেকে ভালো কারণ আপনার যেতে যেতে সকাল হয়ে যাবে আর আপনি যদি রাতে ট্রেনে ঘুমিয়ে নিন তাহলে সকালে ট্রেন থেকে নেমেই আপনার ভ্রমণ শুরু করতে পারেন আর সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা।
সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে জিন্দাবাজার আসার জন্য সিএনজিতে চড়ে বন্দর আসতে হবে। বন্দর থেকে রিকশায় জিন্দাবাজার। আম্বরখানা থেকেও রিকশায় চড়েই জিন্দাবাজার আসা যায়।

সিলেটের বাতিঘরে কতক বইপড়ুয়াদের বই আড্ডা; Image source: আসিফ আব্দুল
কোথায় থাকবেন
সিলেটে থাকার মতো অনেকগুলো হোটেল আছে, আপনি আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যেকোনো ধরনের হোটেল পাবেন। কয়েকটি পরিচিত হোটেল হলো – হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা, কায়কোবাদ ইত্যাদি। লালাবাজার এলাকায় কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত রেস্ট হাউস আছে৷ হোটেল অনুরাগে সিঙ্গেল রুম ৪০০ টাকা (দুই জন আরামসে থাকতে পারবেন), তিন বেডের রুম ৫০০ টাকা (নরমালই ৪ জন থাকতে পারবেন)। রাত যাপনের জন্য দরগা রোডে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। রুম ভাড়া ৫০০/- টাকা থেকে ৫,০০০/- টাকা পর্যন্ত।
তামাবিল/জৈন্তাপুরের দিকে বেশ কিছু রিসোর্ট আছে। আপনার থাকার ব্যবস্থা যদি এইদিকে কোথাও হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে হাদারপাড় থেকে আবার আগের মতোই গোয়াইনঘাটে আসতে হবে। গোয়াইন ঘাট থেকে যেতে হবে সারি ঘাট। সিএনজি/লেগুনাতে করে যেতে পারেন। ভাড়া জনপ্রতি ৬০ টাকা।
কোথায় খাবেন
বাতিঘরের কাছেই খাওয়ার জন্য সিলেটের জিন্দাবাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল আছে। হোটেলগুলো হচ্ছে পাঁচ ভাই, পানশি ও পালকি। এগুলোতে প্রায় ২৯ প্রকারের ভর্তা আছে।
Feature Image : মাদিহা মৌ